একদিনে ঘুরে আসার মত ঢাকার আশেপাশে কিছু মনোরম জায়গা
লং ট্যুরে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের সবার থাকে। কিন্তু সময়ের অভাবের কারনে আমরা লং ট্যুর দেয়ার সুযোগ পাই না। ঢাকার আশেপাশে কয়েকটি মনোরম জায়গা সম্পর্কে আছে যেখানে একদিনে ঘুড়া যায়।
১/ পানাম ও মেঘনার পারঃ
পৃথিবীর ১০০ টি ধ্বংস প্রায় ঐতিহাসিক শহরের মধ্যে পানাম নগর একটি। পানামনগর ঈসা খাঁ এর আমলে বাংলার রাজধানী ছিল । এখানে অনেক পুরনো ভবন রয়েছে,। পানামনগর থেকে কাছেই মেঘনা নদী। পানামনগর ঘুরা শেষে সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন।নারায়নগঞ্জ এর খুব কাছে সোনারগাঁতে অবস্থিত পানামনগর । গুলিস্থান থেকে মোগরাপারা সেখান থেকে চলে যাবেন পানামনগরীতে।
২/ মৈনট ঘাটঃ
অল্প সময়ে সহজেই ঘুরে আসা যায় মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট। মৈনট ঘাট দোহার উপজেলায় অবস্থিত । এখানকার সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য অনেক সুন্দর । মৈনট ঘাটের দৃশ্য আপনার চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। পদ্মার ইলিশ খাওয়া কিংবা নৌকায় ঘুরার ইচ্ছা থাকলে মৈনট ঘাট ঘুরে আসতে পারেন।
৩/ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কঃ
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি প্রায় ৩,৬৯০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এই পার্কে অনেক বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর সমারোহ রয়েছে। গাজীপুরের বাঘের বাজার থেকে খুব সহজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে যাওয়া যায় ।
৪/ পদ্মা রিসোর্টঃ
ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং আলাকায় পদ্মা নদীতে চড়ের উপর এই রিসোর্টটি অবস্থিত। রিসোর্টটি পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত এবং বর্ষা ঋতুর সময় গেলে বেশি ভালো লাগবে।
সকালের নাস্তার জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ১০০-১৫০ টাকা । দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ২৫০-৪০০ টাকার মতো।
ইচ্ছা করলে অর্ধেক বেলা অথবা পুরো ২৪ ঘন্টার জন্য কটেজ ভাড়া নেয়া যায় ।সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভাড়া ১,৫০০-২,০০০ টাকা। সকাল ১০ টা থেকে পরের দিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভাড়া ২০০০-৩,০০০ টাকা।
৫/ নিকলী হাওরঃ
কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে রয়েছে খোলামেলা পরিবেশ এবং স্নিগ্ধ প্রকৃতির ছোঁয়া । ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ শহরে সেখান থেকে নিকলি ঘাট । ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে হাওর । বর্ষার শেষ দিকে নিকলী হাওর ভ্রমনের উপযুক্ত সময় । তবে নিকলী হাওর যেতে চাইলে খুব সকালে রওনা দিতে হবে ঢাকা থেকে ।
৬/ গোলাপ গ্রামঃ
মিরপুর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে বোটে করে গোলাপ গ্রাম যেতে পারবেন।বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাট ইঞ্জিনচালিত বোটে যেতে হয়। অথবা উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এসে সেখান থেকে দিয়াবাড়ি আসতে হবে। সেখান থেকে বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে সাদুল্লাহপুর গোলাপ গ্রামে যাওয়া যায়।